রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
Headline
এক অস্থির জেনারেশন তৈরি করছি আমরা
/ ৩২ Time View
Update : সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১৫ পূর্বাহ্ন

 

বাংলার আলো টিভি ডেস্কঃ

এক অস্থির জেনারেশন তৈরি করছি আমরা। বিলিভ অর নট এই জেনারেশনের স্পেসিফিক কোনো লক্ষ্য নাই। এদের আদর্শিক কোনো এমবিশান নাই। পবিত্র কোনো মিশন নাই।

এরা বই পড়ে না, নিউজপেপার পড়ে না। আউটডোর খেলাধুলায়ও এদের অনীহা।

এরা রৌদ্রে হাঁটতে পছন্দ করে না। বৃষ্টিতে ভিজতে চায় না। কাঁদামাটি, ঘাস, লতাপাতায় এদের এলার্জি। এরা আধা কিলোমিটার গন্তব্যে যেতে আধা ঘন্টা রিক্সার জন্য অপেক্ষা করে।
এরা অস্থির। প্রচণ্ডরকম অস্থির এক জেনারেশন।

এরা অপরিচিত সিনিয়রদের সালাম দেবে না। পাশ কাটিয়ে হনহন করে চলে যাবে। অথবা গা ঘেষে পা পাড়া দিয়ে চলে যাবে। সরি বলার টেণ্ডেন্সি এদের মধ্যে নাই। এরা অনর্থক তর্ক জুড়ে দেবে। না পাবেন বিনয়ী ভঙ্গি, না পাবেন কৃতজ্ঞতাবোধ। এদের উদ্ধত আচরণ, সদম্ভ চলাফেরায় আপনি ভয়ে কুকড়ে যাবেন। সংযত হওয়ার উপদেশ দিতে চাইলেই বিপদ, নাজেহাল হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।

আপনি পাব্লিক বাসে চড়ছেন, দেখবেন খালি সীটটায় জায়গা পেতে সবচেয়ে জুনিয়র ছেলেটা বেশি প্রতিযোগিতা করবে। আপনাকে ধাক্কাটাক্কা দিয়ে সটান বসে পড়বে। তার বয়সের দ্বিগুন এই আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না।

বলছিলাম এই জেনারেশনের কথা। সবচেয়ে ভয়াবহ ফিতনার কথা যে মজলিসে এই জেনারেশন দাঁড়িয়ে থাকার কথা, সেই মজলিসে তারা নিজের জন্য চেয়ার খোঁজ করে। যেখানে চুপ থাকার কথা, সেখানে জ্ঞান দিতে চেষ্টা করে।

সারা রাত ধরে অনলাইনে থাকে, সারা সকাল ঘুমায়। এরা সূর্যোদয় দেখে না, সূর্যাস্ত দেখে না। সূর্যোদয়ে বিছানায় থাকে, সূর্যাস্তে মোবাইলে থাকে।

এরা ফার্স্টফুডে আসক্ত।
এরা আউটডোর খেলা অপছন্দ করে। এরা ইনডোরে স্বস্তি পায়। নিদৃষ্ট করে বললে মূলত অনলাইন গেম তাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি।

এরা ইতিহাস পড়ে না। সাহিত্য বুঝে না। এরা নজরুল চিনে না, রবীন্দ্রনাথ চিনে না, ফররুখ চিনে না। সাদী, রুমি, হাফিজ ত বহু অচেনা প্রসঙ্গ। এরা বই বুঝে না, বই পড়ে না, বই কিনে না৷

এরা নন-স্কিলড। এরা হাঁটতে পারে না, দৌড়াতে পারে না, গাছে চড়তে জানে না, সাতার কাটতে পারে না। সাগর পাড়ি দেওয়ার সেই দু:সাহসিকতা নাই, পাহাড় কেটে পথ তৈরি করার সেই অদম্য মনোবল নাই। এদের উচ্ছ্বাস নাই। আবেগ নাই। সৎ সাহস নাই। এদের একটাই স্কিল- স্মার্ট ফোন দ্রুত স্ক্রল করতে পারা৷

এদের না আছে মূল্যবোধ, না আছে শ্রদ্ধাবোধ, না আছে শৃঙ্খলাবোধ।
কখন চলতে হবে, কখন থামতে হবে, কখন বলতে হবে, কখন শুনতে হবে এরা জানে না। এরা না বুঝে সিনিয়রিটি, না বুঝে জুনিয়িরিটি।

আসলে উপরে যে সব বল্লাম একটাও সঠিক নয়,,,,ওরা সবগুলোতেই পারদর্শী বিদায় আজ তাঁরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে – এবং জাতিকে চোখে আঙুল দিয়ে ভূল ধরিয়ে দিচ্ছে,,, এরা চাইলে সব পারে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page