মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
Headline
হজ্ব গাইড হিসাবে যাওয়ার ছুটি না পেয়ে চাকরি হতে অব্যাহতি নিলেন বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফ
/ ১৯ Time View
Update : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৮:৩২ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি,

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাকরিরত অবস্থায় হজ্ব গাইড হিসাবে সৌদি আরবে যান প্রতি বছর। এবছরও ব্যতিক্রম হয় নি ছুটির জন্য
গভর্নিং বোর্ডির সভাপতির নিকট আবেদন করে কিন্তু আবেদন গ্রহন না করে ছুটি পাশ করেন নি।
সাবেক আমীরে জামায়াত শহিদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী রহ এর সুযোগ্য পুত্র মাওলানা ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন।
বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ ছুটি না পেয়ে ফেসবুকে পোষ্টে দুঃখ প্রকাশ করেন

সততা নৈতিকতা পুন্ন মানুষের কাছে দলীয় প্রীতি, বা ব্যাক্তি লাভ হয় না। এটাই প্রমাণ করলেন আমাদের সাঁথিয়ার অহংকার মওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেবর সন্তান বোয়াইল মারী কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ব্যরিষ্টার নজিবুর রহমান মোমিন। তাঁর সভাপতি হওয়ার কথা শুনে মনে মনে ভাবলাম দেখি তিনি কি করেন। তার দলের রোকন সদস্য হজ্জ ব্যবসায়ী মওলানা আবু হানিফ এবার হজ্জ ব্যবসা করার জন্য ছুটি পান কিনা?
আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি সততা নৈতিকতা ও ন্যায় পরায়নতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেলেন। দীর্ঘ দিন ধরে মওলানা আবু হানিফ সাহেব সভাপতি তথা মাদ্রাসা কমিটি কে ম্যানেজ করে প্রতি বছর হজ্জ ব্যবসা পরিচালনার জন্য মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিতেন। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্য কোথাও নজীর নাই।

তার নিজের হজ্জ ব্যবসায় ছুটি না দেয়ায় তিনি বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসার কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। যে কমিটির সভাপতি ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মোমিন।

জনাব মওলানা আবু হানিফ সাহেব।
আপনি শিক্ষক হিসেবে খুব ভালো।
কিন্তু হজ্জ ব্যবসায়ী।
প্রতি বছর আপনি হজ্জব্রত পালন করবেন সেটা কি চাকরি করে সম্ভব। আপনি আক্ষেপ করছেন কেন। হয় চাকরি করেন। না হয় হজ্জ ব্যাবসা করেন। এতো দিন ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিষ্টদের ম্যানেজ করে হজ্জ ব্যবসা করে এসেছেন। একবার ছুটি দেয় নাই। কেন দেয় নাই।
কারন এতদিন সভাপতি ম্যানেজ হতো। এবার হয় নাই। আশাকরি সভাপতি সাহেব ন্যায় কাজ টি করবেন। বোয়াইল মারী কামিল মাদ্রাসা সাঁথিয়ার প্রথম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এটা যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন আমার মরহুম দাদা মৌলভী হাসান আলী মীর ছিলেন সাঁথিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট, অত্র এলাকার প্রথম কোন শিক্ষিত আলেম, আমাদের বাড়িতে সাঁথিয়ার প্রথম মসজিদ, আমার দাদা মৌলভী হাসান আলী মীর সাঁথিয়া সালঘর গোরস্তানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ততকালীন জমিদার শশধর রায় বাবুর নায়েব ছিলেন, ঐ সময়ের অত্রএলাকার ধর্ম প্রাণ মুসলমান রা সবাই মিলে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ক বছর পরে মাদ্রাসায় চাকরি করতে আসেন একজন অতি বুজুর্গ হুজুর। তাঁকে নিয়ে অনেক কেরামতির কথা শুনেছি ছোট বেলায়। সেই সন্মানিত মানুষ টিকে প্রতিষ্ঠাতা বানিয়ে তাঁর সুনাম নষ্ট করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তো জানেন কারা প্রতিষ্ঠাতা। কি উদ্দেশ্যে বা কেন মওলানা আব্দুল আজীজ কে প্রতিষ্ঠাতা বানিয়ে স্মরনীকা লিখেছেন। এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতারা মহান আল্লাহ পাকের সন্তষ্টির জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর এখন বোয়াইল মারী মাদ্রাসা একটি শিক্ষার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয়েছে।
এই মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগের সময় টাকা লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সহ কমিটির সভাপতি টাকা নিয়েছেন তা প্রমান হয়েছে। টাকা ফেরত দিয়েছেন। সে ব্যাপারে রেজুলেশন আছে। তারপর পরও সেই দুর্নীতি বাজরা সেখানে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন।
আশা করছি এবার সঠিক কাজটি করবেন, প্রিয় যোগ্য পিতার যোগ্য উত্তর সুরী।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page