

নিজস্ব প্রতিনিধি,
পাবনার কৃতি সন্তান স্বনামধন্য কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর কবি বন্দে আলী মিয়া আজও অবহেলিত। বাংলার কবি, প্রকৃতির কবি, গণমানুষের কবি বন্দে আলী মিয়ার পৈত্রিক বাড়িটি খুবই অবহেলা ও দৈন্যদশায় পড়ে আছে। পাবনার এই সূর্যসন্তানকে নিয়ে কেউ কোনোদিন ভাবেনি।
অপরদিকে যিনি কোনোদিন নিজেকে পাবনার মানুষ বলেই মনে করেনি সেই ভারতীয় নায়িকা সুচিত্রা সেনের নামে পাবনায় একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। একজন নায়িকার নামে সরকারি তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এনে হরিলুট করা হয়েছে।
সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক নিবাস সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে। বাবার চাকরির সুবাদে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুচিত্রা। দেশভাগের সময় পাবনা ছাড়লেও আর কোনোদিনই পাবনায় আসেননি। পাবনার কথা তার জীবদ্দশায় মুখেও আনেননি, স্মরণও করেননি। সুচিত্রা সেন পাবনার মেয়ে বলে নিজেকে কোনো দিন স্মৃতিচারণ করতেও শোনা যায়নি।
তাদের বাড়ি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারি নথিভুক্ত হওয়ার পর ইজারা নিয়ে সেখানে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয়। অল্পকিছু দিনের মধ্যেই সেই স্কুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কিন্তু একটি চক্র জামায়াতের স্কুল ট্যাগ দিয়ে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই সেই সুপ্রতিষ্ঠিত স্কুল উচ্ছেদ করে সেখানে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়। সেই প্রতিষ্ঠান নিয়েও সুচিত্রা সেন কোনো দিন কোনো মন্তব্য করেননি। বরং স্কুল উচ্ছেদ করার বিপক্ষে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। এই প্রতিষ্ঠানের নামে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এনে হরিলুট করে এই চক্র।
এই চক্রের সহযোগিতায় এবং সেই সময়ে রাজনৈতিক চাপে এডওয়ার্ড কলেজের একটি ছাত্রীনিবাসের নামকরণ করা হয় সুচিত্রা সেনের নামে। গতকাল সেই হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।