রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
Headline
হতদরিদ্রদের পাশে সাইলেন্ট হ্যান্ডস সাপোর্ট সোসাইটি: বিতরণ হলো কুরবানির মাংস
/ ১ Time View
Update : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক সংগঠন সাইলেন্ট হ্যান্ডস সাপোর্ট সোসাইটি এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার ৩টি গ্রামের ১২০টি হতদরিদ্র পরিবার পেল কুরবানির মাংস।

শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেহালা ও নাটনাপাড়া গ্রামে প্রায় ৮০টি পরিবার এবং মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ৪০টি পরিবারকে মাংস বিতরণ করা হয়। এসব পরিবারে কেউ অনাথ, কেউ বৃদ্ধ, আবার কারো সংসারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই। ফলে ঈদের সময়টাতেও তাদের পাতে একটু মাংস ওঠে না। দিনব্যাপী সংগঠনটির জেলা প্রতিনিধি মনিটরিং অফিসার এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতিতে এ মাংস বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

মাংস পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই। স্বামীহারা আনজিরা বেগম (৫৮) বলেন,
“বাপ স্বামী বাঁইচা থাকতে মাংসের অভাব বুঝতে দেইনাই। যখন যা লাগতো, তাই কিনে আনতো। এখন বুঝি, স্বামী কী ছিলো বাপ”

একইভাবে শহিদুল ইসলাম (৬২) বলেন,
“বয়স হইছে, আর কাজকাম করতে পারিনি। লোকজনও আর ডাকে না। মাংস কেনার সামর্থ্য নাই। এই মাংস পেয়ে খুব খুশি হইছি”

আছিয়া আক্তার (৫৯) বলেন,
“মাংসের দাম এত বেশি ৮০০ টাকা কেজি কেনার উপায় নেই। ছেলে মেয়েরাও আর দেখে না আল্লাহ রহম করছে এই মাংস পাবো ভাবতে পারিনি”

এ ধরনের অনেক পরিবার ঈদের সময়টুকুই অপেক্ষায় থাকেন, যদি কোথাও থেকে একটু মাংস জোটে। কুরবানি দেওয়ার কিংবা মাংস কেনার মতো সামর্থ্য না থাকায় ঈদ তাদের কাছে আসে শুধু অপেক্ষার দিন হয়ে।

সাইলেন্ট হ্যান্ডস সাপোর্ট সোসাইটির জেলা প্রতিনিধি ও মনিটরিং অফিসার বলেন,
“আমরা স্থানীয় টিম নিয়ে চেষ্টা করেছি প্রকৃত প্রাপ্যদের কাছে মাংস পৌঁছে দিতে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ এই আয়োজন শুধু মাংস নয়, ঈদের আনন্দটাও পৌঁছে দিয়েছে শতাধিক পরিবারের ঘরে”

উল্লেখ্য, সাইলেন্ট হ্যান্ডস সাপোর্ট সোসাইটি ২০১৮ সাল থেকে দেশে শিক্ষা, পথশিশু, খাবার খাওয়ানো, দুর্যোগকালীন ত্রাণ ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ঈদুল আজহার সময় সারাদেশে কুরবানির মাংস বিতরণ করে সংগঠনটি, যা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page