

নিজস্ব প্রতিনিধি,
পাবনা জেলার সাঁথিয়ায় উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী আবুল কালামের নাম ঘোষণা করেন। জামায়াত মনোনীত না করলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন এ্যাডভোকেট আব্দুল আল মামুন (বাবু)।আব্দুল্লা আল-মামুন বাবুকে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজে দেখা গেছে, এমনকি ধর্মীয় কাজেও উপস্থিতি ব্যাপক, আব্দুল্লা আল মামুন বাবু গত নির্বাচনেও ঘোড়া মার্কা প্রতিকে নির্বাচন করেছে, ভোটে জিতলেও স্বৈরাচার হাসিনার পালিত প্রশাসন ঘোষণা দেন নি।আব্দুল্লা আল মামুন বাবুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন বিএনপি কর্মী খলিলুর রহমান, তিনি ফেসবুকে লেখেন আব্দুল্লা আল মামুন বাবুকে দলমত নির্বিশেষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান। কিছু ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে আব্দুল্লা আল মামুন যেহেতু দুইবার নির্বাচন করেছে সে পরিচিত এবং সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজে পাওয়া যায় তাঁকেই তাঁরা ভোট দিবেন।
আজকে ফেসবুকে পোস্ট দেন আব্দুল্লা আল-মামুন বাবু নিচে কিছু কথা তুলে ধরা হলো :-
দলের দুর্দিনে লড়েছেন, আজ দল দূরে—তবুও জনগণের ভালোবাসায় আবারও নির্বাচনী মাঠে এক সাহসী কণ্ঠ…
রাজনীতির কূটচালে হারিয়ে যাননি, বরং মানুষের ভালোবাসাকে পাথেয় করে আবারও মাঠে ফিরছেন আবদুল্লাহ বাবু। অতীতে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন তিনি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুইবার নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এবার দল মনোনয়ন দেয়নি। তবুও থেমে যাননি—কারণ তিনি বিশ্বাস করেন,
> “দল না পাশে, জনগণ পাশে!”
এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা এবং দীর্ঘ ১৬ বছরের নিবেদিত সামাজিক-ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চলেছেন তিনি।
আবদুল্লাহ বাবু বলেন,
> “রাজনীতিতে আমি স্বার্থের জন্য আসিনি, এসেছি সেবার জন্য। ভোটে দুইবার জয় পেয়েছি, কিন্তু প্রশাসনিক চাপ ও রাজনৈতিক প্রভাব আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে দেয়নি। আজ দল পাশে নেই, কিন্তু মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে—তাই আমার মূল শক্তি।”
তিনি আরও বলেন,
> “আমি গৌরীগ্রামবাসীর সন্তান। দলীয় প্রতীকের চেয়ে মানুষের প্রতীক বেশি মূল্যবান আমার কাছে। ইনশাআল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচন করবো এবং আপনাদের দোয়া, সহযোগিতা ও ভোট প্রত্যাশা করছি।”
স্থানীয় রাজনীতিতে গরম হাওয়া — আবদুল্লাহ বাবুর স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ কি বদলে দেবে নির্বাচনের খেলা?
এলাকাবাসীর মুখে একটাই কথা — “যে আমাদের সুখে-দুখে পাশে ছিল, এবার আমরা তার পাশে থাকব!”