সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
Headline
শুধু ভয় দেখানো নয়,অস্ত্রের মুখে নেন চাঁদা, যুবদল নেতা, যুবদল এখন গামছালীগের দায়িত্ব পালন করছেন
/ ৯৪ Time View
Update : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৫:৩৯ অপরাহ্ন
  1. গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে এক যুবদল নেতা অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে দেশিয় অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল ও মহড়া দিয়েছেন।

    আজ শনিবার বিকেলে এমসিবাজার এলাকায় ওই মহড়া দেওয়া হয়। মহড়ার একপর্যায়ে সন্ত্রাসী দলটির নেতৃত্বে থাকা যুবদল নেতা হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন, ‘আজকের পর থেকে এই বাজারের সব কন্ট্রোল করব আমি।’

    এরই মধ্যে মহড়াসহ ও ঘোষণার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে।
    ওই ঘোষণা দেওয়া যুবদল নেতার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

    বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়ার একপর্যায়ে ওই ঘোষণার পর বাজারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ করেন, এরপর সন্ত্রাসীরা ভয় দেখিয়ে দোকান ঘুরে ঘুরে চাঁদাবাজি করেছে।
    জানা যায়, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এমসিবাজার এলাকায় মিছিল করে। সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকের মাথা-মুখ লাল গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। তাদের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র।

    মিছিলের পর এমসিবাজার ‘স্বপ্নপুরী’ হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে হ্যান্ডমাইকে বাজার নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আজকে আমার সব সক্ষমতা নিয়ে বাজারে এসেছি।

    আজকের পর থেকে এই বাজারের সব কন্ট্রোল করব আমি। কে ডাকবে আর কে না ডাকবে সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আমার নেতৃত্বে এই বাজার চলবে। আজকের পর থেকে আমি জাহাঙ্গীর যতদিন বেঁচে থাকবো, ততোদিন পর্যন্ত এ বাজার আমার নেতৃত্বে চলবে।’
    বাজারের মুদি দোকানদার সুরুজ আলী জানান, ওই ঘোষণার পর বাজারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    পরে প্রথমে দা উঁচিয়ে তাঁর কাছে যান সন্ত্রাসীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন। এরপর বাজারের অন্য দোকানদাররাও ১০০ কিংবা ২০০ টাকা করে দেন সন্ত্রাসীদের।
    পরে প্রথমে দা উঁচিয়ে তাঁর কাছে যান সন্ত্রাসীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন। এরপর বাজারের অন্য দোকানদাররাও ১০০ কিংবা ২০০ টাকা করে দেন সন্ত্রাসীদের।
    বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বড় বড় দাও লইয়া আইছে। লাল গামছা দেয়া (দিয়ে) সবার মুখ বান্ধা (বাঁধা)। ডরে ১০০ টেহা দেয়া দিছি। সব দোহানতেই নিছে।’

    ব্যবসায়ীরা জানান, তারা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর ছাড়া কাউকে চিনতে পারেনি।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন দেওয়া হলে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভাইয়ের (জাহাঙ্গীর) নম্বর আমি চালাই। ভাইকে আরেক নম্বরে পাবেন।’

    পরে রফিকুল ইসলামের দেওয়া আরেক নম্বরে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য জানা যায়নি।

    গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখেছি। ওই ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।’

    শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আবদুল কুদ্দুস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছার আগেই ওরা (সন্ত্রাসীরা) চলে গেছে। বাজারে আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনা ছিল এটি। একপক্ষ মিছিল করেছে। আরেক পক্ষ ধাওয়া দিলে ওরা চলে যায়।’

    তবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়াসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এস আই কুদ্দুস বলেন, ‘না, এমন কিছু হয়নি।

    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে এক যুবদল নেতা অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে দেশিয় অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল ও মহড়া দিয়েছেন। 

আজ শনিবার বিকেলে এমসিবাজার এলাকায় ওই মহড়া দেওয়া হয়। মহড়ার একপর্যায়ে সন্ত্রাসী দলটির নেতৃত্বে থাকা যুবদল নেতা হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন, ‘আজকের পর থেকে এই বাজারের সব কন্ট্রোল করব আমি।’

এরই মধ্যে মহড়াসহ ও ঘোষণার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ঘোষণা দেওয়া যুবদল নেতার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়ার একপর্যায়ে ওই ঘোষণার পর বাজারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ করেন, এরপর সন্ত্রাসীরা ভয় দেখিয়ে দোকান ঘুরে ঘুরে চাঁদাবাজি করেছে।
জানা যায়, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এমসিবাজার এলাকায় মিছিল করে। সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকের মাথা-মুখ লাল গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। তাদের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র।

মিছিলের পর এমসিবাজার ‘স্বপ্নপুরী’ হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে হ্যান্ডমাইকে বাজার নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আজকে আমার সব সক্ষমতা নিয়ে বাজারে এসেছি।

আজকের পর থেকে এই বাজারের সব কন্ট্রোল করব আমি। কে ডাকবে আর কে না ডাকবে সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আমার নেতৃত্বে এই বাজার চলবে। আজকের পর থেকে আমি জাহাঙ্গীর যতদিন বেঁচে থাকবো, ততোদিন পর্যন্ত এ বাজার আমার নেতৃত্বে চলবে।’
বাজারের মুদি দোকানদার সুরুজ আলী জানান, ওই ঘোষণার পর বাজারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরে প্রথমে দা উঁচিয়ে তাঁর কাছে যান সন্ত্রাসীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন। এরপর বাজারের অন্য দোকানদাররাও ১০০ কিংবা ২০০ টাকা করে দেন সন্ত্রাসীদের।
পরে প্রথমে দা উঁচিয়ে তাঁর কাছে যান সন্ত্রাসীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন। এরপর বাজারের অন্য দোকানদাররাও ১০০ কিংবা ২০০ টাকা করে দেন সন্ত্রাসীদের।
বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বড় বড় দাও লইয়া আইছে। লাল গামছা দেয়া (দিয়ে) সবার মুখ বান্ধা (বাঁধা)। ডরে ১০০ টেহা দেয়া দিছি। সব দোহানতেই নিছে।’

ব্যবসায়ীরা জানান, তারা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর ছাড়া কাউকে চিনতে পারেনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন দেওয়া হলে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভাইয়ের (জাহাঙ্গীর) নম্বর আমি চালাই। ভাইকে আরেক নম্বরে পাবেন।’ 

পরে রফিকুল ইসলামের দেওয়া আরেক নম্বরে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য জানা যায়নি।

গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখেছি। ওই ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।’

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আবদুল কুদ্দুস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছার আগেই ওরা (সন্ত্রাসীরা) চলে গেছে। বাজারে আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনা ছিল এটি। একপক্ষ মিছিল করেছে। আরেক পক্ষ ধাওয়া দিলে ওরা চলে যায়।’ 

তবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়াসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এস আই কুদ্দুস বলেন, ‘না, এমন কিছু হয়নি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page