

পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর অঞ্চলের ০৯ নং ওয়ার্ডের আজগরের প্রথম পক্ষের বড় পুত্র হাফিজুর রহমান হাফিজ ঢাকার গাজীপুর টুঙ্গি অঞ্চলে বসবাস করেন। তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগ দলের নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
সোস্যাল মিডিয়াতে দেখা যায় রাজশাহী সিটি মেয়রসহ ঢাকার একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে ছবি তুলে ফেজবুকে পোস্ট করেছিলো।সোস্যাল মিডিয়া থেকে ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪ সালে শুধু পোস্টই নয় নিজের মনের ভাবটাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি।রাজশাহী সিটি মেয়র খাইরুজ্জামান লিটনের সাথে হাফিজুর রহমান হাফিজ ছবি তুলে লিখেছিলেন “পাশে বসা ব্যক্তিটিই আমার জীবনের সিঁড়ি”।
প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ জনগনের মনে সিঁড়িতে উঠে ৩৬শে জুলাইয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে অত্যাচার নিপীড়ন চালায় নাই এর কি গ্যারান্টি আছে?অন্যদিকে বেকারীর পন্য দিয়ে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগসহ সাহায্য সহযোগিতা করেছে এমন অভিযোগও আছে হাফিজ বেকারির মালিক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
৩৬শে জুলাই বিপ্লবের পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানান গাজীপুর-টুঙ্গীর স্থানীয়রা।
খাঁ-পাড়া শান্তি নিবাস টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় যেন হাফিজ একটা ত্রাশ নামে পরিচিত আছে।এই অঞ্চলে আওয়ামীলীগের শাসনামলে যেভাবে চাইতেন সেই ভাবেই চলতো এই অঞ্চলের থানা দেখে মনে হয় তিনিই যেন এই থানার হর্তাকর্তা।স্বৈরাচার শাসকের দোসর এইটা থেকে নিশ্চিত হওয়া যা
গত দুই থেকে দিন আগে হাফিজুর রহমান হাফিজ তার রতনপুর নিজ এলাকায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সরকারি দপ্তর ও রাজনৈতিক মহলের জামায়াত সমর্থক ও বিএনপি সমর্থক মানুষের সাথে নিজের সকল কিছু গোঁপন রেখে একটা ইফতার পার্টির আয়োজন করেন।এই ইফতার পার্টির আয়োজনই ছিলো নিজের অপকর্ম ধামাচাপা ও খামারী ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য লোন পাশ করানোর মূল উদ্দেশ্য।এই সকল উদ্দেশ্য সফল করতে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে এই আয়োজন করেছিলেন,অন্য দিকে মানুষের সাড়াও পেয়েছেন।রতনপুর অঞ্চলের মানুষ তার স্বৈরাচার শাসক আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক শক্তি সম্পর্কে কিছুই জানে না,আর যারা জেনেছিলো তারা ভুলেও এই খুনি শ্বাসকের দলের মানুষের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে,তার ভয়ে কোন কিছু প্রকাশ করা সম্ভব হয় নাই।গোঁপনে গোঁপনে চলছে রতনপুর অঞ্চলে নানা গুঞ্জন,এই ধরনের গুঞ্জন থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেই চলছে।